০৮:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টঙ্গী নিউ লাইফ হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টারে নবজাতক শিশু হত্যার অভিযোগ

  • দৈনিক সময়ের কথা
  • প্রকাশিত: ১২:৩৪:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৬৭ বার দেখা হয়েছে

মোঃ মুজাহিদুল ইসলামঃ

টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় নিউ লাইফ হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতক শিশুকে হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগ উঠেছে ডাক্তার ও হাসপাতালে কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।এ ঘটনায় ডাক্তার ও হাসপাতালের মালিকসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা পলাতক।
স্থানীয় প্রাপ্ত তথ্যমতে, টঙ্গীর টিএন্ডটি এলাকার খোকন ও আয়েশা দম্পতি নিউ লাইফ হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টারে আসেন আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে। গর্ভবতী নারীর সন্তান প্রসবের আরো ২০ দিন বাকী থাকলেও ডাক্তাররা ভয়ভীতি দেখিয়ে এখনি সিজার করতে বলেন। ভয় পেয়ে আয়েশার স্বামী খোকন মিয়া ২৮ হাজার টাকা চুক্তি করে সিজার করান। এ সময় দুটি নবজাতক শিশুর ডেলিভারি সম্পন্ন হলেও খোকনকে জানানো হয় যে, তার এক সন্তান মারা গেছে। অত:পর
একটি নবজাতক শিশুকে হত্যা করে ডাক্তাররা সুকৌশলে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন নিহত নবজাতক শিশুর বাবা মোঃখোকন। এমনকি নবজাতক শিশুর লাশ একটি কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে কার্টুনে ভরে গুম করে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। কিন্তু আমাদের হাতে ধরা পড়ার পর মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ করা হয়। নবজাতক শিশুর মাথায় প্রচুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবী নিহত নবজাতকের বাবা খোকন মিয়ার ও স্বজনদের। ভুল চিকিৎসা ও অদক্ষতার কারণে নবজাতক শিশুকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে নিহতের পিতা খোকন মিয়া।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসপাতালের ডাঃ কাম পরিচালক মতিউর রহমান ও আরেক পরিচালক রফিকুল ইসলামকে একাধিকবার মুঠোফোন কল দিলেও তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি । স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান নিউ লাইফ হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টারের পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক কে মামলা থেকে বাঁচাতে একটি মহল খুব দৌড় ঝাপ করছে। এই হাসপাতালে প্রতিনিয়ত ঘটে এমন ঘটনা কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন না নেওয়ায়
হাসপাতাল কতৃপক্ষের সাহস বেড়ে গেছে। কিছু দিন আগে এই হাসপাতালে শিশু বিক্রয়ের ঘটনা ঘটে। পরে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই শিশু উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেন।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদুল ইসলাম বলেন , নিহত শিশুর ময়নাতদন্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (অপরাধ দক্ষিণ) বিভাগের উপ- কমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন বলেন, এই বিষয়টি শুনেছি তদন্ত চলছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মাহমুদা আখতার বলেন, আমি সরেজমিন তদন্ত করেছি। ডাক্তার নিয়ে সমস্যা আছে। এই ঘটনায় তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট সাপেক্ষে হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

টেগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

আশুলিয়ায় ফুটপাতে চলছে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, নেতৃত্বে স্থানীয় প্রভাবশালী আক্তার!

টঙ্গী নিউ লাইফ হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টারে নবজাতক শিশু হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১২:৩৪:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মোঃ মুজাহিদুল ইসলামঃ

টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় নিউ লাইফ হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতক শিশুকে হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগ উঠেছে ডাক্তার ও হাসপাতালে কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।এ ঘটনায় ডাক্তার ও হাসপাতালের মালিকসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা পলাতক।
স্থানীয় প্রাপ্ত তথ্যমতে, টঙ্গীর টিএন্ডটি এলাকার খোকন ও আয়েশা দম্পতি নিউ লাইফ হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টারে আসেন আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে। গর্ভবতী নারীর সন্তান প্রসবের আরো ২০ দিন বাকী থাকলেও ডাক্তাররা ভয়ভীতি দেখিয়ে এখনি সিজার করতে বলেন। ভয় পেয়ে আয়েশার স্বামী খোকন মিয়া ২৮ হাজার টাকা চুক্তি করে সিজার করান। এ সময় দুটি নবজাতক শিশুর ডেলিভারি সম্পন্ন হলেও খোকনকে জানানো হয় যে, তার এক সন্তান মারা গেছে। অত:পর
একটি নবজাতক শিশুকে হত্যা করে ডাক্তাররা সুকৌশলে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন নিহত নবজাতক শিশুর বাবা মোঃখোকন। এমনকি নবজাতক শিশুর লাশ একটি কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে কার্টুনে ভরে গুম করে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। কিন্তু আমাদের হাতে ধরা পড়ার পর মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ করা হয়। নবজাতক শিশুর মাথায় প্রচুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবী নিহত নবজাতকের বাবা খোকন মিয়ার ও স্বজনদের। ভুল চিকিৎসা ও অদক্ষতার কারণে নবজাতক শিশুকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে নিহতের পিতা খোকন মিয়া।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসপাতালের ডাঃ কাম পরিচালক মতিউর রহমান ও আরেক পরিচালক রফিকুল ইসলামকে একাধিকবার মুঠোফোন কল দিলেও তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি । স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান নিউ লাইফ হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টারের পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক কে মামলা থেকে বাঁচাতে একটি মহল খুব দৌড় ঝাপ করছে। এই হাসপাতালে প্রতিনিয়ত ঘটে এমন ঘটনা কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন না নেওয়ায়
হাসপাতাল কতৃপক্ষের সাহস বেড়ে গেছে। কিছু দিন আগে এই হাসপাতালে শিশু বিক্রয়ের ঘটনা ঘটে। পরে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই শিশু উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেন।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদুল ইসলাম বলেন , নিহত শিশুর ময়নাতদন্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (অপরাধ দক্ষিণ) বিভাগের উপ- কমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন বলেন, এই বিষয়টি শুনেছি তদন্ত চলছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মাহমুদা আখতার বলেন, আমি সরেজমিন তদন্ত করেছি। ডাক্তার নিয়ে সমস্যা আছে। এই ঘটনায় তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট সাপেক্ষে হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।