০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বনশ্রীতে নারী সাংবাদিককে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগে মামলা

  • দৈনিক সময়ের কথা
  • প্রকাশিত: ০৩:১৩:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৮ বার দেখা হয়েছে

রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় রাফিয়া তামান্না নামে এক নারী সাংবাদিককে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তিনি দৈনিক ইংরেজি পত্রিকা নিউ এইজে কাজ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিক রামপুরা থানায় একটি মামলা করেছেন।

স্থানীয় সময় বুধবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বনশ্রীর ই-ব্লকের তিন নম্বর সড়কের একটি জুসের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় নারী সাংবাদিক রাফিয়া তামান্না ও তার ছোট ভাই রিশাদকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রাফিয়া তামান্না রামপুরা থানায় জিসান ও পার্থিব নামে দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০-২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিক রাফিয়া তামান্না জানান, রাত সাড়ে সাতটা থেকে আটটার দিকে আমি এবং আমার ছোট ভাই রিশাদ বনশ্রী ই-ব্লকের তিন নম্বর রোডের মুখে আমার বাসার সামনে একটি জুসের দোকানে ছিলাম। এসময় কয়েকজন স্থানীয় যুবক আমাকে উত্যক্ত করতে শুরু করে। আমার ভাই প্রতিবাদ করলে তারা প্রথমে তাকে মারধর করে। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করে।

তিনি আরও বলেন, আমরা নিজেদের বাসার সামনেই নিরাপদ নই। ছেলেগুলো এমনভাবে আচরণ করছিল যেনো তারা যা করছে, সেটাই তাদের অধিকার। আমার ভাই যখন প্রতিবাদ করল, তখন তারা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। এমনকি তারা আমাকে হেনস্তা করার পরও অকপটে বলে, ‘হ্যাঁ, আমরা রেপ করেছি, কী করবে?’”

এ বিষয়ে রামপুরা থানার ওসি আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, বনশ্রীর ই-ব্লকের একটি জুসের দোকানে ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কয়েকজন যুবক নারী সাংবাদিক ও তার ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল। বিষয়টি নিয়ে কথা-কাটাকাটি হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে মামলা নেওয়া হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় নারী সাংবাদিক রাফিয়া তামান্না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার নিজের বাসার সামনেই নিরাপদ নই! আমাকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় আমার ভাইকে মারধর করা হলো, আমাকেও লাঞ্ছিত করা হলো। অথচ আশেপাশের কেউ এগিয়ে এল না। আমার চুল টেনে ধরে আমাকে হ্যাচকা টান দেওয়া হলো, বুকে আঘাত করা হলো, লাথি মারা হলো। চারপাশের সবাই দাঁড়িয়ে দেখছিল, কেউ কিছু বলেনি।

একজন সাংবাদিক হয়েও যদি আমি এরকম হামলার শিকার হই, তাহলে সাধারণ নারীদের নিরাপত্তার কী অবস্থা?’

তার এই পোস্টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই শেয়ার দিচ্ছেন এবং কমেন্ট নানা প্রতিবাদ করছে। তারা বলেন, রাজধানীতে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। শুধু রাস্তায় নয়, নিজেদের বাড়ির সামনেও নিরাপদ নন নারীরা

 

টেগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

আশুলিয়ায় ফুটপাতে চলছে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, নেতৃত্বে স্থানীয় প্রভাবশালী আক্তার!

বনশ্রীতে নারী সাংবাদিককে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগে মামলা

প্রকাশিত: ০৩:১৩:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় রাফিয়া তামান্না নামে এক নারী সাংবাদিককে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তিনি দৈনিক ইংরেজি পত্রিকা নিউ এইজে কাজ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিক রামপুরা থানায় একটি মামলা করেছেন।

স্থানীয় সময় বুধবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বনশ্রীর ই-ব্লকের তিন নম্বর সড়কের একটি জুসের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় নারী সাংবাদিক রাফিয়া তামান্না ও তার ছোট ভাই রিশাদকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রাফিয়া তামান্না রামপুরা থানায় জিসান ও পার্থিব নামে দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০-২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিক রাফিয়া তামান্না জানান, রাত সাড়ে সাতটা থেকে আটটার দিকে আমি এবং আমার ছোট ভাই রিশাদ বনশ্রী ই-ব্লকের তিন নম্বর রোডের মুখে আমার বাসার সামনে একটি জুসের দোকানে ছিলাম। এসময় কয়েকজন স্থানীয় যুবক আমাকে উত্যক্ত করতে শুরু করে। আমার ভাই প্রতিবাদ করলে তারা প্রথমে তাকে মারধর করে। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করে।

তিনি আরও বলেন, আমরা নিজেদের বাসার সামনেই নিরাপদ নই। ছেলেগুলো এমনভাবে আচরণ করছিল যেনো তারা যা করছে, সেটাই তাদের অধিকার। আমার ভাই যখন প্রতিবাদ করল, তখন তারা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। এমনকি তারা আমাকে হেনস্তা করার পরও অকপটে বলে, ‘হ্যাঁ, আমরা রেপ করেছি, কী করবে?’”

এ বিষয়ে রামপুরা থানার ওসি আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, বনশ্রীর ই-ব্লকের একটি জুসের দোকানে ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কয়েকজন যুবক নারী সাংবাদিক ও তার ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল। বিষয়টি নিয়ে কথা-কাটাকাটি হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে মামলা নেওয়া হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় নারী সাংবাদিক রাফিয়া তামান্না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার নিজের বাসার সামনেই নিরাপদ নই! আমাকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় আমার ভাইকে মারধর করা হলো, আমাকেও লাঞ্ছিত করা হলো। অথচ আশেপাশের কেউ এগিয়ে এল না। আমার চুল টেনে ধরে আমাকে হ্যাচকা টান দেওয়া হলো, বুকে আঘাত করা হলো, লাথি মারা হলো। চারপাশের সবাই দাঁড়িয়ে দেখছিল, কেউ কিছু বলেনি।

একজন সাংবাদিক হয়েও যদি আমি এরকম হামলার শিকার হই, তাহলে সাধারণ নারীদের নিরাপত্তার কী অবস্থা?’

তার এই পোস্টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই শেয়ার দিচ্ছেন এবং কমেন্ট নানা প্রতিবাদ করছে। তারা বলেন, রাজধানীতে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। শুধু রাস্তায় নয়, নিজেদের বাড়ির সামনেও নিরাপদ নন নারীরা